- বাংলাদেশের খবরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ
কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত দুই মামলার আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরীকে ট্রাফিক বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। দেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘বাংলাদেশের খবর’র ডিজিটাল সংস্করণসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে সরানো হলো গুরুত্বপূর্ণ এই পদ থেকে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এসএমপি কমিশনার মো. রেজাউল করিম (পিপিএম- সেবা) স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরীকে ‘স্ট্যাট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ শাখায় বদলি করা হয়। তার স্থলে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক শাখার প্রধান করা হয় উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানকে (অতিরিক্ত দায়িত্ব)।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও বেশ মারমুখি ছিল পুলিশ। ছত্রভঙ্গ করতে আন্দোলনকারীদের দিকে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করা হয়। ৫ আগস্ট বিকেল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে পুলিশের গুলিতে মারা যান সাংবাদিক ও ছাত্রসহ প্রায় অর্ধশত লোক। আহত হন দুই সহস্রাধিক মানুষ। এর মধ্যে অনেকেই এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন, কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়। এ কারণে পুলিশের প্রতি সিলেটের মানুষেরও ছিল তীব্র অসন্তোষ।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হতাহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালত ও থানায় হতে থাকে একের পর এক মামলা। এগুলোর বেশিভাগই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে। আর এই বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত দুটি মামলার আসামি পুলিশ কর্মকর্তাকে গত ৪ জানুয়ারি দেওয়া হয় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক প্রধানের (উপ-কমিশনার) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আগে এই কর্মকর্তা ছিলেন এসএমপি’র ডিবি (গোয়েন্দা) শাখার প্রধান।
বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সিলেটের সচেতন মহলে উঠে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। বিষয়টি নিয়ে দেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘বাংলাদেশের খবর’র ডিজিটাল সংস্করণে মঙ্গলবার সকালে ‘‘গণ-অভ্যুত্থান : দুই মামলার আসামি হয়েও পুলিশ কর্মকর্তার ‘প্রাইজিং পোস্ট’’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই টনক নড়ে এসএমপি কর্তৃপক্ষের, মঙ্গলবারই এক আদেশে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয় অন্য পদে।