আয়নাবাজি

রশীদ জামীল 
.
আদইয়ায়ে মাসনুনাহ নামে ছোটদের একটা দুআর বই আছে। বইটিতেই প্রথম শিখেছিলাম, নামাজের ওয়াজিব ১৪টি। সম্ভবত ৯ নাম্বারটি ছিল ‘আস্তের জাগায় আস্তে পড়া, জুরের জাগায় জুরে পড়া’। 
.

তারা আমার নয়, কোনোদিন ছিলও না- এটা জানার পরও তাদেরকে আমরা লাইক করি! তাদের ফলোয়ার লিস্টে ঝুলে থাকি!  লাইক করা হয় বলেই ডিসলাইক করা লাগে। ফলো না করলে তো আনফলো করার প্রশ্নও আসত না!  
.

হাজার হাজার নেতা, লক্ষ লক্ষ কর্মী এবং কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ ইসলামপ্রিয় সমর্থক। এত বিশাল একটা পরিসর থাকবার পরেও এই অঙ্গনের একটা মিডিয়া নেই কেন- এটি একটি কমন প্রশ্ন। সঠিক জবাব আমি জানি না। কে জানেন- সেটাও জানি না। তবে একটি ব‍্যাপার বুঝতে পারি। সেটি হলো- ‘আস্তের জাগায় আস্তে পড়া, জুরের জাগায় জুরে পড়া’ সূত্রটির রাজনৈতিক ও সামাজিক অনিবার্যতা অনুধাবনের অক্ষমতা।
.

কতদিন আর এভাবে বয়কট বয়কট করতে হবে? একটা কিছু নিজেদের হোক না- যেন আমাদের চেহারা তাদের আয়নায় দেখবার জন‍্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে না হয়?  ভালো কথা, আয়নায় যে ছবি উল্টো করে আসে- ব‍্যপারটি কি আমরা জানি?
.

আমি স্বপ্ন দেখি, কোনো একদিন আমাদেরও একটা মিডিয়া হবে। অত‍্যন্ত প্রভাবশালী হবে সেই মিডিয়া। আজ আমরা যেমন মুখিয়ে রই, সেদিন তারাই বরং মুখিয়ে থাকবে আমাদের কাগজে একটু স্থান পাবার জন‍্যে।  
.

এই যে আমরা দুদিন পর পর তাদেরকে বয়কট করছি, কোনো একদিন আমাদের সাথে তারাই সেটা করুক- তেমন একটি দিনের স্বপ্ন দেখি আমি। সমস‍্যা কী- স্বপ্ন দেখতে তো আর পয়সা লাগে না।