বাসা ‘জবরদখল’, সিলেটে স্ত্রী নিয়ে অসহায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী

  • সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর বসত-ভিটা ও বাসা নিজের ভাই-বোন এবং ভাতিজারা জবরদখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাহবুবুল আলম চৌধুরী। তিনি সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন পীরমহল্লা এলাকার প্রভাতী-৩০ শিরীন মঞ্জিলের বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। নিজের বাসাবাড়ি জবরদখল হয়ে যাওয়ায় এখন তিনি স্ত্রীকে দেশে ফিরে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছেন। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে মাহবুবুর রহমান জানান- তারা ৯ ভাই ও ২ বোন। এর মধ্যে ২ ভাই মারা গেছেন। পীরমহল্লায় থাকা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে অন্যান্য ভাই-বোনরা তাকে বঞ্চিত করেছেন। তার অংশে থাকা ভাড়াটিয়াকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে বাসাটি জবরদখল করে নেওয়া হয়। এই কাণ্ডে নেতৃত্ব দেন মাহবুবের আপন ভাই হাবিবুল আলম চৌধুরী। বাসা জবদরখলের পর তিনি দেশে আসতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সেসময় আসতে পারেননি। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরে এসে তিনি তার বাসায় উঠতে চাইলে জবরদখলকারীরা তাকে মারধর করতে উদ্যত হন। পরে তিনি সেখান থেকে চলে এসে সস্ত্রীক বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান- এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টার কাছে লিখিত দিলে তিনি তদন্তসাপেক্ষে মাহবুবুল আলমের বসতভিটা ও বাসা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশ প্রশাসনকে। কিন্তু সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে গড়িমসি করছেন। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবৈধ দখলদারদের তিনি সহযোগিতা করছেন।

এ অবস্থায় সুবিচার পেতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাহবুবুল আলম চৌধুরী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগগুলোর বিষয়ে মাহবুবুল আলম চৌধুরীর বোন দেশে থাকা তামান্না চৌধুরী জানান- তিনি (মাহবুব) অন্যায় করছেন। ভাগ-বাটোয়ারায় তিনি যে স্থানে অংশ পেয়েছেন সেখানে তিনি থাকতে চাচ্ছেন না। বরং তিনি জোরপূর্বক সামনের প্লটটি নিজের করে পেতে চাচ্ছেন। আমরা সব ভাই-বোন এতে সম্মত না হওয়ায় মাহবুব মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছেন। 

তামান্না বলেন- বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আমাদের কাছে সব বৈধ কাগজপত্র আছে। আশা করছি- আমরা সুবিচার পাবো।