শামসুল আরেফীন
রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। ক্রোধের মুহূর্তে মানুষের জবান তার আয়ত্তের বাইরে থাকে, ফলে ক্রোধান্বিত ব্যক্তি যাকে ইচ্ছা তাকেই লানত করে বসে এবং বদদোয়া দেয়। এমনকি নিজের সন্তান-সন্ততিদের দিকেও তারা লানতের তীর নিক্ষেপ করতে দ্বিধাবোধ করে না। আবু যায়েদ সাবিত ইবনে দাহহাক আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনকে লানত করল বা কাফের বলে গালি দিল, সে যেন তাকে হত্যা করল।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৪১০)
অপর আরেকটি হাদিসে হজরত আবু দারদা (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘অভিশম্পাতকারীরা (কেয়ামতের দিন) সুপারিশকারী হতে পারবে না এবং সাক্ষীদাতাও হতে পারবে না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৭) সুতরাং কেউ মনে কষ্ট দিয়ে ফেললেও সেই ব্যক্তির জন্য বদদোয়া না করে তার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা নিকট কল্যাণের দোয়া করা।
অন্যকে অভিশাপ দেওয়া কোনো মুমিনের গুণ হতে পারে না। যেমন হাদিসে এসেছে—লানতকারী আখেরাতে এবং আল্লাহর দরবারে কোনো মর্যাদা পাবে না। এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন অভিশাপকারীরা সুপারিশ করতে পারবে না এবং সাক্ষ্য প্রদানও করতে পারবে না।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৯৮) কাজেই চলুন মানুষকে বদদোয়া না দিয়ে অন্তর থেকে তাদের জন্য কল্যাণের দোয়া করি।