কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সর্বাবস্থায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা মুমিন বান্দার প্রশংসনীয় গুণ। বিশেষত যখন সে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো সুখবর, অর্জন, আনন্দ ইত্যাদির সংবাদ পায়, তখন সে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। দিলের পাশাপাশি মুখেও আল্লাহর প্রশংসা করা উচিৎ। আর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সবচেয়ে সহজ ও সুন্দর মাধ্যম হলো ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা।
‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দের অর্থ সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য। সর্বাবস্থায় ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। পবিত্র কোরআনের একাধিক সুরা আল্লাহ তাআলা ‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দ দিয়ে শুরু করেছেন।
মহানবী (সা.) আলহামদুলিল্লাহকে সর্বোত্তম দোয়া আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সর্বোত্তম ফজিলতপূর্ণ বাক্য এবং সর্বোত্তম দোয়া হলো আলহামদুলিল্লাহ।’ (তিরমিজি)
আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা সব থেকে বেশি নিজের প্রশংসা পছন্দ করেন। এজন্য তিনি নিজের প্রশংসা করেছেন এবং আমাদেরও (আলহামদুলিল্লাহ জাতীয় বাক্যে) তাঁর প্রশংসার নির্দেশ দিয়েছেন।’ (বুখারি)
আলহামদুলিল্লাহ বলার ফজিলত অগণিত। এই শব্দ হাশরের ময়দানে কাজে আসবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ মিজান পূর্ণ করে দেয়। আর সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ শব্দ দুটি আসমান ও জমিনের খালি জায়গা পূর্ণ করে দেয়।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যদি আমার কোনো উম্মতকে পুরো দুনিয়া দিয়ে দেওয়া হয় আর সে আলহামদুলিল্লাহ বলে, তাহলে এই শব্দ পুরো দুনিয়া থেকে উত্তম।’ (ইবনে মাজাহ)
সামুরা বিন জুনদুব (রা.) বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলার কাছে প্রিয় বাক্য চারটি—সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার।...’ (মুসলিম)