কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিমাদল এলাকার মোকামবাজারে ডাকাত সন্দেহে আটক ৩ জন মূলত গরু চোর। মঙ্গলবার দিবাগত (৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে তাদের আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখেন স্থানীয় জনতা। পরে সেনাবাহিনী এসে তাদের উদ্ধার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
গণপিটুনিতে আহত ৩ চোরকে পরে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে আদালতে প্রেরণ করে।
আটক ৩ গুরুচোর হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে জমির উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বইটিকর এলাকার ফখরুল ইসলাম ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারের জয়নাল আহমদ।
জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ১২টা থেকে সিলেটের বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ডাকাত আতঙ্ক দেখা দেয়। বিষয়টি ভার্চুয়াল মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করে ডাকাতদের বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এতে মানুষজন বেরিয়ে আসেন রাস্তায় ও পাহারা দিতে থাকেন।
রাত ২টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিমাদল এলাকার মোকামবাজারে মোটরসাইকেল নিয়ে তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় জনতার আটক করে ডাকাত সন্দেহে তাদের গণপিটুনি দেওয়া এবং তাদের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন ক্ষুব্দ জনতা।
খবর পেয়ে রাত গোলাপগঞ্জ থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনরোষের মুখে তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। পরে রাত ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে ৩ চোরকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্যা কওমি কণ্ঠকে বলেন- গণপিটুনিতে আটক ৩ জন সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পর বুধবার বিকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।