সকাল থেকে পাম্পে দিচ্ছে না পেট্রোল, ভোগান্তি

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ শতাংশ নির্ধারণসহ সাত দফা দাবিতে আজ রোববার (২৬ মে) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ।

এর অংশ হিসেবে সিলেটেও চলছে ধর্মঘট।

প্রাথমিকভাবে বেলা ২টা পর্যন্ত সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ এবং ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন স্থগিত রয়েছে। এর মধ্যে আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো না মানলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। 

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১১টায় বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
» জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশ করা ও সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের অবস্থানে বহাল রাখা
» পাম্প সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন বলে গণ্য করা
» বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল
» পরিবেশ অধিদপ্তর, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল
» বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ
» ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যুতে জটিলতা দূর করা, সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট প্রদান
» অননুমোদিতভাবে ঘর বা খোলা স্থানে তেল বিক্রয় বন্ধ করা

এদিকে, সিলেটে সকাল থেকে পাম্পে জ্বালানি তেল না পাওয়া ভোগান্তিতে পড়েছেন গাড়ি চালক, মালিক ও যাত্রীরা। ইতোমধ্যে অনেক গাড়ি বিভিন্ন পাম্পে দাঁড়িয়ে আছে পেট্রোল না পেয়ে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কওমি কণ্ঠকে বলেন- সারা বাংলাদেশে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে সকাল থেকে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিলেটেও কোনো পাম্পে বিক্রি করা হচ্ছে না জ্বালানি তেল। ঢাকার এখন বৈঠক চলছে। দাবিগুলো না মানলে বৈঠক শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।