কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
ভারতের অভ্যন্তরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মো. জাকারিয়া আহমদের (২৫) লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) দুপুর ১টার দিকে সীমান্ত পিলার ১২৫৭/১-এস এর কাছে বিজিবি-বিএসএফ-এর উপস্থিতিতে পতাকাবৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানাপুলিশের নিকট মৃতদেহটি হস্তান্তর করে।
পরে ময়না তদন্তের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মো. জাকারিয়া আহমদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লামাগ্রাম (কামাল বস্তি)-এর মো. আলা উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়- সেদিন দুপুর ১২টার দিকে জাকরিয়ার চাচা মো. গিয়াস উদ্দিন এসে জানান, তার ভাতিজা (জাকারিয়া) সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছে। এরপর স্থানীয় লোকজন সীমান্ত পিলার ১২৫৮/২০-এস হতে আনুমানিক ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছের সঙ্গে জাকারিয়ার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেন। পরে বিজিবি বিষয়টি অবগত করে গিয়াস উদ্দিনকে এবং পুলিশি সহায়তার জন্য থানায় গিয়ে জিডি করার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জাকারিয়ার বিষয়টি বিএসএফকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত করলে বিএসএফ মৃতদেহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারতের পিনারসালা থানাকে জানায়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেখানকার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি করে।
বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে বিএসএফের সহায়তায় পিনারসালা থানাপুলিশ লাশটির সুরতহাল প্রতিবেদন করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
পরবর্তীতে বিজিবি ও বিএসএফের আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়- শুক্রবার (২০ জুন) সকালে বিজিবি-বিএসএফ’র উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানাপুলিশের কাছে মৃতদেহটি হস্তান্তর করবে।
বিজিবি জানায়, জাকারিয়া আহমেদ পারিবারিক সমস্যার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় ভারতের অভ্যন্তরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।
এদিকে, জাকারিয়া ঘটনার মাত্র ৩ দিন আগে বিয়ে করছিলো বলে জানা গেছে।