সিলেট আদালতে অ স্ত্র নিয়ে স্বামীর উপর স্ত্রীর আ ক্র ম ণ!

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় সিলেটে আদালতভবনে স্বামী ও তার স্বজনদের উপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেছেন স্ত্রী। স্ত্রীর টার্গেট স্বামী হলেও তিনি বেঁচে যান। তবে আহত হন ওই নারী মামাশ্বশুর ও আরেকজন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ৩য় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ওই নারী ও আরেকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- মোছা. নুরজাহান বেগম শিউলি (৩০) ও তার ছোট ভাই মনজাম মিয়া (২৮)। 

নুরজাহানের ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন- সিলেট মহানগরের ঘাসিটুলা এলাকার মৃত মো. বাবু মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন (৫৭) ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সোনাপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে সাদিকুর রহমান (২৯)।

জানা যায়, সিলেটের ওসমানীনগর থানার মোবারকপুর এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে মো. আব্দুস শুকুরের সঙ্গে (৪০) কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় বিশ্বনাথ থানার ধলিপাড়া শেখপাড়া এলাকার মৃত মো. মন্তাজ আলীর মেয়ে মোছা. নুরজাহান বেগম শিউলির। তবে বিয়ের পর নুরহাজাহান জানতে পারেন- শুকুরের আরও একাধিক বিয়ে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে যৌতুক আইনে বিশ্বনাথ থানায় শুকুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নুরজাহান বেগম। সেই মামলার রায় ছিল মঙ্গলবার।

নির্ধারিত সময়ে শুনানি শেষে সিলেটের চিফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালত সিলেটের বিচারক আব্দুল্লাহ আল নোমান শুকুরকে খালাস প্রদান করেন। কিন্তু স্বামী খালাস পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নুরজাহান ওই আদালতের ৩য় তলায় শুকুরের উপর ছুরি ও হাতুড়ি নিয়ে আক্রমণ করেন। কিন্তু স্বামী শুকুর বেঁচে গেলেও হামলায় আহত হন তার মামা জামাল উদ্দিন (৫৭) ও সাদিকুর রহমান নামের এক যুবক। 

তাৎক্ষণিকভাবে আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য এবং বিজ্ঞ কৌশলীরা হামলাকারী নুরজাহান বেগম ও তার ছোট ভাই মনজাম মিয়াকে আটক করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চাকু, একটি হাতুড়ি এবং একটি রেঞ্চ জব্দ করা হয়।

পরে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক মঙ্গলবার বিকালে কওমি কণ্ঠকে বলেন- আটক দুইজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। হামলার শিকার লোকজন মামলা বা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যব্স্থা গ্রহণ করা হবে।