কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটসহ সারাদেশে ভুলে ভরা এনআইডি সংশোধনে ভুক্তভোগীদের চরম দুর্ভোগ-ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে গুণতে হচ্ছে টাকাও। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ উদাসীন। যেন দেখার কেউ নেই।
সিলেটের একজন ব্যাংক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কুমিল্লায় কর্মরত থাকাকালে তিনি ওখানের ঠিকানায় এনআইডি করেছিলেন। মূলত তিনি সিলেটের বাসিন্দা। এই এনআইডি-এর ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য তিনি প্রায় ৬ মাস আগে সিলেট নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। কিন্তু মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) পর্যন্তও তার এনআইডিটি সংশোধন হয়ে আসেনি।
কেবল ওই ব্যাংক কর্মকর্তাই নন- সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেককেই এনআইডি সংশোধনের জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। দিনের পর দিনে নির্বাচন অফিসে দৌঁড়ঝাঁপ করে পাচ্ছেন না কূল-কিনারা।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- অনেক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের অক্ষরচয়ন, শব্দ বিন্যাস ও বানানে ভুল রয়েছে।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ১৮ বছর বয়সী নাগরিকদের এনআইডি কার্ড দেয়া শুরু করে। সে সময় অনেক অদক্ষ লোককে দিয়ে এনআইডির ছবি তোলা এবং তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব লোক তথ্য সংগ্রহে পদে পদে ভুল করেছেন। অনেকের নামের বানানে ভুল করেছেন। ঠিকানায় ভুল। অনেকের জন্ম তারিখ পর্যন্ত ভুল লিখেছেন।
বর্তমানে সকল সেবা পেতে এনআইডি-এর প্রয়োজন। হাসপাতালে অনলাইন চিকিৎসা পেতে গেলেও এর প্রয়োজন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কার্ডটির ভুলের কারণে পদে পদে মানুষকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান- জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ছোট ভুলও সংশোধন করতে গেলে ভোগান্তির শেষ নেই। ভুল ঠিক করার জন্য বা শোধরানোর জন্য স্থানীয় নির্বাচন কমিশন বা নিবন্ধন শোধরানো কেন্দ্রে গেলে তাদেরকে ব্যয় করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- নির্বাচন অফিসে গেলে তাদেরকে জন্মনিবন্ধন, এফিডেভিট এমনকি জিডি করে পত্রিকার কাটিং জমা দিতে হয়। এসব ক্ষেত্রে অনেক কর্মচারী-কর্মকর্তা ঘুষ চান। না দিলে দুর্ভোগ বেড়ে যায় আরো কয়েকগুণ।
এ ব্যাপারে সিলেট নির্বাচন অফিসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।