মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অনার্স শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার :

অনার্স ২য় বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে ‘টাকা যার শিক্ষা তার, এই নীতি মানি না’, ‘এক টাকাও বর্ধিত ফি, ছাত্র সমাজ দিবে না’, ‘বর্ধিত ফরম পূরণ ফি, প্রত্যাহার করতে হবে’—নানা স্লোগান দেন। পরে অধ্যক্ষের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ বরাবর বর্ধিত ফরমপূরণ ফি প্রত্যাহারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের (২০১৯-২০ সেশন)’র শিক্ষার্থী রাজিব সূত্রধর, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্জিব দেব, হোসেন আহমেদ, কান্তা দাস, লাদেন আহমদ, অম্লান কান্তি ধর, রুবাইয়াৎ জাহান চৌধুরী, বাপ্পন ধর, ঈশিতা দেব, তামান্না আক্তার, মোছা. উর্মি বেগম, মো. মান্না মিয়াসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গত ২১ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফরমপূরণের জন্য অযৌক্তিকভাবে বর্ধিত ফি আরোপ করা হয়। এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর ও দুঃসহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত ফি দেওয়া অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষেই সম্ভব নয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছেন। আমরা মনে করি, হঠাৎ করে ফি বৃদ্ধি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থী। আমরা বিশ্বাস করি, স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিসমূহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপিত হবে এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো-
১। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরমপূরণের ফি বৃদ্ধি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২। শিক্ষার্থীবান্ধব ও আর্থিকভাবে সহনশীল ফি নির্ধারণ করতে হবে।
৩। ভবিষ্যতে হঠাৎ করে এ ধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা বা আর্থিক অনুদান প্রদান করতে হবে।
৫। ৬০% উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হলে পর্যাপ্ত যানবাহন, পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করতে হবে।


(রিপোর্ট : শাহরিয়ার খান সাকিব)