সাদাপাথর লুট, শাহাব উদ্দিনকে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সাদাপাথর লুটপাটের মামলায় সিলেটে গ্রেফতার হওয়া বিএনপির পদ স্থগিত-নেতা শাহাব উদ্দিনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। 

এদিকে, শাহাব উদ্দিনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ- কওমি কণ্ঠকে এমন তথ্য জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ।

তিনি জানান- আজ (রবিবার) দুপুরে আসামিকে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (৭) তোলা হলে বিজ্ঞ বিচারক ধ্রুব জ্যোতি পাল তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেননি আদালত। পরের শুনানির দিনে আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।

এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহাব উদ্দিনকে সিলেট মহানগরের কুমারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍‍্যাব)-৯ এর একটি টিম। 

রাত ১২টার দিকে বিষয়টি কওমি কণ্ঠকে নিশ্চিত করেন র‍‍্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম সোহাগ। 

শাহাব উদ্দিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। সাদাপাথর লুটকাণ্ড ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে গত ১১ আগস্ট রাতে তার দলীয় পদ স্থগিত করে বিএনপি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ বিএনপির নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাব উদ্দিনের সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর স্থলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী আবদুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।’

এর আগে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় ১৫০ একর জমি দখলের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে ১৯ মার্চ সাহাব উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা বিএনপি। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিক উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। এসবের পরেও তিনি থামেননি। ফলে দল পদ স্থগিত করে এবং সবশেষে তাকে গ্রেফতার হতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর হাতে।