সিলেটে ‘বহিষ্কৃত’ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ

  • সিলেটে সংবাদ সম্মেলন : গির্জার জায়গা দখল, কোটি কোটি টাকা আত্মসাত

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেট মহানগরের রিকাবিবাজার এলাকায় খৃষ্টান সম্প্রদায়ের একটি গির্জার জায়গা জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে বহুতল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবি ও ‘বহিষ্কৃত’ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। জাল-জালিয়াতি করে আত্মসাৎ করা ওই জায়গায় ২২ তলা ফাউন্ডেশনের ‘ইম্পালস বিল্ডার্স’ নামের একটি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন অভিযুক্ত আইনজীবি।

ইতোমধ্যে ৪ তলা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এক পর্যায়ে এ বিষয়ে মামলা-অভিযোগ করা করা হলে ভবন ও জায়গার দখল লুসাই সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির কাছে সমঝিয়ে দেন আদালত। কিন্তু গত ৩০ জানুয়ারি আবারও জোরপূর্বক জায়গাটির দখল নেন সেই আইনজীবি।

অভিযোগ আছে- একটি রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে লুসাই সম্প্রদায়ের ওই লোকের কাছ থেকে অভিযুক্ত আইনজীবি জায়গা জবরদখল করেছেন। 

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট মহানগরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়। গির্জা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘ত্রি-পক্ষীয় সমঝোতা কমিটি’। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন মহানগরের জল্লারপাড় শাপলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও কমিটির সমন্বয়ক তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন- মহানগরের রিকাবীবাজার এলাকায় গির্জার  ৮০ শতক জায়গা দখল করে ২২ তলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু ‘ইম্পালস বিল্ডার্স’ নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে ৪ তলা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আদালতে এই জায়গা নিয়ে মামলা চললেও, দুদকের অনুসন্ধানে জাল-জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের কারাবাস হয়। এতদিন আদালতের নির্দেশে জায়গাটির দখল গির্জার জায়গার মালিক সংখ্যালঘু লুসাই সম্প্রদায়ের কাছে থাকলেও গত ৩০ জানুয়ারি একটি রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে জায়গাটির আবারও দখলে নিয়ে নেন অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম।

অভিযোগকারীরা বলছেন- ভবনের স্পেইস প্রায় ৩০০ ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান- আমাদের প্রথম অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিরাজুল ইসলামকে জামায়াত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো বলে তাদের দল থেকে আমাদের জানানো হয়। তবে এখনও তিনি জামায়াতের নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন।

অভিযোগগুলোর বিষয়ে অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন- সব মিথ্যা। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমার কার্যক্রম কোনোভাবেই অবৈধ নয়, সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। বরং যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা গত স্বৈরশাসকের দোসর।