যুবলীগ নেতা নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সং ঘ র্ষ

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ :

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসন। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী  অফিসার উজ্জ্বল রায়।

বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন মধ্যনগর থানার ওসি মো. সজিব রহমান।
 
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানে উপজেলার বংশিকুণ্ডা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উপজেলা বিএনপি নেতা এম এ শহীদ মিয়া গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা মিজান  বিএনপি কর্মী দাবি করলে বিএনপির আরেক নেতা আব্দুল কাইয়ুম মজলু এটা অস্বীকার করেন।

এতে দুপক্ষের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।পরে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে  সন্ধ্যার দিকে সংঘর্ষে বাঁধলে এসময় স্থানীয় ২ টি বিএনপি অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। 

এবিষয়ে মধ্যনগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক   আব্দুল কাইয়ূম মজলু জানান, পুলিশের অভিযান  আটককৃত মিজান যুবলীগের নেতা। 

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়  তার বেশ দাপট ছিল উপজেলায়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে বিএনপি শহীদ তার পক্ষ নিয়ে উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও বিএনপির অফিস ভাঙচুর করেছে। 

জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এম এ শহীদ মিয়া জানান   একটি মহলের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বিএনপির কর্মী। 

পুলিশের অভিযানে নিরপরাধ কাউকে যেনো আটক না করা হয় সে বিষয়ে পুলিশকে অনুরোধ করেছি। 

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সজিব রহমান বলেন, উপজেলা ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে বিএনপি অফিস ভাংচুর করেছে দু'পক্ষই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।