কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া
জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে সিরাজুল হক জেলা কৃষক লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীনসহ একদল অনুসারী নিয়ে বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে তিনি প্রকাশ্যে একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন এবং দলের নেতাদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
ঘটনার পর বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। অনেকেই ঘটনাটিকে ‘দলের ঐক্যের ওপর সরাসরি আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কারণ, বিষয়টি আমি ভালো করে জানি না। আগে জানি, তারপর কথা বলব।’
এ বিষয়ে সিরাজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভাড়া চাইতে গেলে আমার ছেলে বাবুকে মারধর করেছে। আমাকেও মারতে এসেছে। আমি আমার নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র নিয়ে গেছি। আমি খালি হাতে যাব কেন? ওরা আমার বড় ছেলেকে মেরেছে। আমার বাবার জমি দখল করে পার্টি অফিস করেছে। এক কোটি বিশ লাখ টাকা ভাড়া বাকি আছে, দেয় না।’
এ ঘটনায় সিরাজুল হক বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করলেও রহস্যজনক কারণে বেলা সাড়ে ১১টায় তা বাতিল করেন।
সিরাজুল হক ১৯৯১ সালে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ওই সময়ে তিনি স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ছিলেন।