কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
চব্বিশের বিপ্লবে স্বৈরশাসক হাসিনার পতনের দিন ৫ আগস্ট প্রাণরক্ষায় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ মোট ৬২৬ জন বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আশ্রয় দেওয়া মানুষদের মধ্যে ৫৭৮ জনের নাম বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এই তালিকা অনুযায়ী- সিলেট সেনানিবাসে ওই দিন ১৫ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা হলেন- তৎকালীন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সায়েদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাটের সার্কেল এসপি সাহিদুর রহমান, গোয়াইনঘাট থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মো. আবু জাহির, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ, এসএমপি কমিশনার মো. জাকির হোসাইন খান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. জুবায়েদ হোসেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমেদ সিদ্দিক, এসএমপি’র উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মাহফুজুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপধ্যক্ষ মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, সিকৃবি’র মো. আলাউদ্দিন আহমেদ, সিকৃবি’র অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল আওয়াল ও সিকৃবি’র সিকিউরিটি কর্মকর্তা মো. আব্দুল রাকিব।
আইএসপিআর জানায়, জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কতিপয় কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। ফলশ্রুতিতে, সরকারি দপ্তর, থানাসমূহে হামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়।
এ অবস্থায় ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকগণ আশ্রয় প্রার্থনা করেন। উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করার চাইতে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল।