কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের দুই উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৩৫টি অবৈধ ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের ধোপাগুল ও জৈন্তাপুরের বিভিন্ন উপজেলায় পরিবেশ বিধি লঙ্ঘন করে চালানো ক্রাশার মিলগুলোর বিরুদ্ধে এই অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স।
এসব মিলের অধিকাংশই স্থানীয় প্রভাবশালীদের।
এর আগে গত শনিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর সিলেট সফরকালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর দুই দিনের মাথায় সোমবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ধোপাগুলসহ আশপাশের এলাকায় কোনো ধরনের পরিবেশগত ছাড়পত্র (ইআইএ) ও বৈধ অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছিল বেশকিছু মিল। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল স্থানীয় পরিবেশ। পরিবেশ রক্ষার অংশ হিসাবে টাস্কফোর্স গঠন করে গতকাল সোমবার অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ধোপাগুল এলাকায় ৩০টি ও জৈন্তাপুর উপজেলার ৫টি ক্রাশার ও বালু ধৌতকরণ মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একইসাথে ২৬টি বৈদ্যুতিক মিটার এবং যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। তা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় এক ট্রাক চালককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার মেরিনা দেবনাথ। অভিযানে পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের একাধিক টিম উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, জৈন্তাপুর উপজেলার ৫টি ক্রাশার ও বালু ধৌতকরণ মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জৈন্তাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার লাবনী বলেন, অবৈধ স্থাপনা ও পরিবেশ বিনাশী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে। আইন অমান্যকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।