কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
২২ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট মহানগরে কোনো অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন নতুন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী (পিপিএম- সেবা)।
এছাড়া কোনো অবৈধ স্ট্যান্ড রাখা যাবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সভাকক্ষে স্থানীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয়সভায় কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান- অনুষ্ঠিত সভায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
পরে পুলিশ কমিশনার এসব সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
পুলিশ কমিশনার সভায় বিভিন্ন পরিবহন সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন- আমাদের এই শহরকে পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত রাখতে হলে সকলকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনোভাবেই অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি, রুট পারমিটবিহীন গাড়ি, ডুপ্লিকেট লাইসেন্সধারী ও চোরাই গাড়ি, অবৈধ অটোরিকশা এবং অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। স্ট্যান্ড ব্যতীত কোনো যানবাহন যত্রতত্র পার্কিং করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২২ ডিসেম্বর থেকে ব্যাটারির রিকশা পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন- আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব অবৈধ যানবাহন মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমিশনার বলেন- বাহির থেকে মহানগরে চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবার জন্য আগত যাত্রীদের নির্দিষ্ট কিছু গাড়িতে উঠতে বাধ্য করে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া হয়। এজন্য সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি পাম্প বন্ধ থাকবে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মহানগরে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান প্রবেশ করতে পারবে। সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পর কোনো কাভার্ডভ্যান, ট্রাক শহরে প্রবেশ করতে পারবে না।
এসএমপি কমিশনার বলেন- অবৈধ অটোরিকশা ড্রাইভারা ছিনতাই কাজের সাথে জড়িত তাই অবৈধ গাড়ি গুলো সরালে অপরাধ কমে আসবে। আমরা আমেরিকার মতো একটি ব্যবস্থা করবো- পরপর তিনবার জরিমানার শিকার হলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
আমাদের সব সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- জনগণকে নিরাপত্তা ও সেবা দেওয়া। এই সিদ্ধান্তে কারো সুবিধা হবে, কারো অসুবিধা হতে পারে- তবে বৃহত্তর স্বার্থে এটি মেনে নেওয়া প্রয়োজন।
সিলেট মহানগরকে একটি নিরাপদ ও সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ কমিশনার।
সভায় এসএমপি’র বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।