কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিলেটের সঙ্গে বৈষম্যের প্রতিবাদে সিলেটে সমাবেশ ও এক ঘণ্টার প্রতীকি অনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে সিলেটের সব শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন- ‘মৌলিক নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিলেটবাসী। সিলেটের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতের ন্যায্য প্রাপ্যতা আজও নিশ্চিত হয়নি।’
তিনি বলেন- ‘আমি বার বার বলে আসছি-এখন আর চুপ করে থাকা সময় নয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, রেল ও আকাশপথের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও অবহেলা সিলেটবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন দেখতে চাই: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করা, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে পর্যাপ্ত ট্রেন ও বগি চালু করা, রেল টিকিট কালোবাজারি রোধ করা এবং সিলেট–ঢাকা বিমানের ভাড়া যুক্তিসংগত পর্যায়ে আনাসহ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা টেকসইভাবে পুনর্গঠন করা। যদি এই সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় এবং সিলেটবাসীর প্রতি বৈষম্য অব্যাহত থাকে, তবে আমি সিলেটের জনগণকে সংগঠিত করে আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো-এবং এর দায় বর্তমান সরকারেরই নিতে হবে।’
প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে যেসব দাবি জানানো হয়েছে সেগুলো হলো-
ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, সিলেট–ঢাকা ও সিলেট–চট্টগ্রাম রুটে নতুন ট্রেন ও বগি চালু করা, রেল টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা, সিলেট–ঢাকা রুটে বিমানের ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে আনা, সিলেটের অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন ও টেকসই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংস্কারসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন করা।
রবিবার বেলা ১১টা থেকে সিলেট মহানগরের কোর্ট পয়েন্টে শুরু হয় প্রতিবাদ সমাবেশে। ১১টা থেকে ১২টা- এই ১ ঘণ্টা চলে প্রতীকি অনশন। পাশাপাশি এই এক ঘণ্টা সিলেটে পরিবহন শ্রমিকরা পালন করেন কর্মবিরতি এবং ব্যবসায়ীরা বন্ধ রাখেন দোকানপাট।
এদিকে, আরিফুল হক চৌধুরীর ডাকে সাড়া দিয়ে সিলেট মহানগর এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরাও নেমে আসেন রাজপথে। তারা খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে এসে যোগ দেন সমাবেশস্থলে।
কর্মসূচি শেষে আরিফুল হকের নেতৃত্বে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।