আলফু জেলে থাকলেও তার বাহিনী সক্রিয়

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :

বিশ মামলায় কারাবন্দি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আব্দুল অদুদ আলফু জেলে থাকলেও তার বাহিনী এখনো সক্রিয়।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তার বাহিনী ধলাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু চুরির সময় চারটি বার্কি নৌকা জব্দ ও একজনকে আটক করে পুলিশ। এম সাইফুর রহমান সেতুর নিচ থেকে তারা এই বালু চুরি করছিলেন।

আলফু বাহিনীর আটক সদস্যের নাম সিরাজী (৪৫)। তিনি কোম্পানীগঞ্জের ডাকাঘর গ্রামের আছদ্দর আলীর ছেলে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধলাই ব্রিজের নিচসহ কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ’-এর নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু চুরি করে আসছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা ও ৩নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু এবং সিলেট জেলা যুবদলের একাধিক নেতা এই চুরির মূল হোতা ছিলেন। বর্তমানে কারাগারে থাকা আলফুর পক্ষে তার ছেলে বায়েজিদ এই বালু চুরির ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এলাকাবাসীর দাবি, এই বালু লুটে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। এদের মধ্যে ১নং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিহাদ আলীর ছেলে ও উপজেলা যুবদলের সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং শওকত আলীর নামও ঘুরে ফিরে আসছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে ধলাই নদীর আশপাশের গ্রামগুলো ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বেড়িবাঁধসহ আশপাশের এলাকা এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ইসলামপুর বাজার থেকে ঢালারপাড় চকবাজার পর্যন্ত নদীর দুই পাড় ঘেঁষে দিনরাত বাল চুরি হচ্ছে  হচ্ছে প্রতিদিন। এতে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মোস্তফানগর বাইতুন আমান জামে মসজিদের বাউন্ডারির পাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে, যা মসজিদটিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

এছাড়া মোস্তফানগর, শওকতনগর, ঢালারপাড়, দক্ষিণ ঢালারপাড়, উত্তর রাজনগর, ইসলামপুর বাজার ও চকবাজার এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, আগে এসব ফসলি জমিতে আমন ধান, বাদাম, তরমুজসহ নানা শস্য উৎপাদন হতো, কিন্তু এখন এসব জমি নদীতে পরিণত হয়েছে। রাজনগর ভোলাই কবরস্থানও নদী ভাঙনের কারণে বিলুপ্তির পথে।


(মূল রিপোর্ট : যুগান্তর)