সুনামগঞ্জে কিশোরীকে গ ণ ধ র্ষ ণ

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ : 

সুনামগঞ্জের ছাতকে এক কিশোরীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির দীঘলী রামপুর সাদা পুলের কাছে একটি গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ওই কিশোরীকে আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই মূল অভিযুক্তকে আটক করে।

এ ঘটনায় বুধবার বিকালে ভিকটিম বাদী হয়ে আটক রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ওই কিশোরী সিলেট থেকে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে যান। এখান থেকে দক্ষিণ খুরমা ইউপির ভুইগাঁও গ্রামে যেতে একটি অটোরিকশায় উঠেন। তাকে গাড়িতে তুলে চালক সুনামগঞ্জ রাস্তা দিয়ে না গিয়ে সিলেট অভিমুখে রওয়ানা দেয়। পরে গোবিন্দগঞ্জ সাদাপুলের সামনে অটোরিকশা আসামাত্র ৩-৪ জন যুবক এসে কিশোরীর হাত-পা চোখ-মুখ বেঁধে জোরপূর্বক একটি গ্যারেজে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে ভিকটিমের চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এসে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনার রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মূল অভিযুক্ত রুহুল আমিনকে আটক করে। তিনি উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির দীঘলী রামপুর গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে। 

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, অন্যান্য আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।